Lalbagh Govt. Model School & College School Code (Board) : 1161 | EIIN : 132081 / College Code : 1119
Welcome to LGMSC

Welcome to LGMSC

                                       লালবাগ সরকারি মডেল স্কুল এন্ড কলেজ  

পুরাতন ঢাকার ঐতিহাসিক লালবাগ কেল্লা ও বুড়িগঙ্গা নদীর বেড়ীবাধ সংলগ্ন র‌্যাব ১০ এর পার্শ্বে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ২৪নং ওয়ার্ডের ৪৩/২, আর.এন.ডি রোডে অবস্থতি। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদশে সরকাররে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের “ঢাকা মহানগরীসহ ৬টি বভিাগে ১১টি উচ্চ মাধ্যমিক মডেল বিদ্যালয় (বেসরকারি) স্থাপন প্রকল্প” এর আওতায় প্রতষ্ঠিতি প্রতষ্ঠিানগুলোর মধ্যে লালবাগ সরকারি মডলে স্কুল এন্ড কলেজ একটি। 

প্রতিষ্ঠানটিতে ২০০৭ সাল থেকে একঝাক তরুণ মেধাবী শিক্ষক নিয়ে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়। ২০০৭ সাল থেকে উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে এবং ২০০৮ সাল থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ে সীমিত সংখ্যক শিক্ষার্থী নিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করে। ২০০৭ সালে মাত্র ৯ জন শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা শুরু করলেও ২০০৮ সালের শিক্ষক-কর্মচারীদের অক্লান্ত পরিশ্রম, মেধা, প্রজ্ঞা ও প্রচেষ্টায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৪০০ জনে উন্নীত হয়। তারই ধারাবাহিক সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৪০০০ জনে উন্নীত হয়েছে। আগামী জানুয়ারী ২০২৪-এ ৪৫০০ জন শিক্ষার্থীর লেখাপড়ার সুযোগ সৃষ্টি হবে ঐহিত্যবাহী এ প্রতিষ্ঠানটিতে। অত্র এলাকার প্রতিটি ঘরের একাধিক শিক্ষার্থী বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটিতে অধ্যয়ন করছে। প্রতিষ্ঠানটি প্রকল্পের মেয়াদ শেষে  সরাসরি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তত্ত¡াবধানে পরিচালিত হয়ে আসছিল এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাননীয় সিনিয়র সচিব বোর্ড অব গভর্নরসের সভাপতি হিসেবে দায়িত্বপালন করে আসছিলেন এবং সম্পূর্ণ রাজনীতিমুক্ত একটি আদর্শ প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়ার মান বিবেচনায় এলাকাবাসীর দাবী ও চাহিদার প্রেক্ষিতে ২০১১ সাল থেকে বোর্ড অব গভর্নরস এর অনুমোদন সাপেক্ষে ১ম থেকে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত সংযুক্ত করা হয়। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটিতে ১ম শ্রেণি হতে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদান কার্যক্রম অত্যন্ত দক্ষতা ও সুশৃংখলভাবে পরিচালিত হয়ে আসছে। বিগত বছর সমূহে বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষায় শতভাগ পাস ও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক জিপিএ-৫ সহ ভালো ফলাফল অর্জন করে আসছে। অধিকসংখ্যক শিক্ষার্থী শিক্ষাবোর্ড ও শিক্ষামন্ত্রণালয় কর্তৃক মেধাবৃত্তি লাভ করে আসছে।
মেধাবী শিক্ষকমন্ডলীদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও শিক্ষার্থীদের প্রচেষ্টায় সর্বোপরি অভিভাবকদের সহায়তায় প্রতিষ্ঠানটি ২০১৭, ২০১৮ এবং ২০১৯ সালে লালবাগ শিক্ষাজোনে শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (কলেজ) হিসেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক স্বীকৃতি অর্জন করেছে। একাডেমিক কার্যক্রমের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠার পর থেকে খেলাধূলা ও সাংস্কৃতিক চর্চার দিক থেকে ঈর্শণীয় সফলতা অর্জন করেছে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। 
এ প্রতিষ্ঠানটি জাতীয় পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন সহ বেশ কিছু গুরুত্বপুর্ণ ইভেন্টে রেকর্ড সংখ্যক পুরস্কার অর্জন করেছে। সাহিত্য চর্চার ক্ষেত্রেও প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সফলতা অপরিসিম। বঙ্গবন্ধু সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতায় ২০২২ ও ২০২৩ সালে প্রতিষ্ঠানের একজন শিক্ষার্থী জাতীয় পর্যায়ে অংশগ্রহণ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক পুরস্কৃত হয়েছে। এছাড়া বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ, শহীদ শেখ রাসেলসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে রচনা প্রতিযোগিতা, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় ১ম স্থান সহ উল্লেখযোগ্য কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখে চলেছে প্রতিষ্ঠানটির মেধাবী শিক্ষার্থীরা। বিজ্ঞান চর্চায় প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীবৃন্দ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় আয়োজিত ও অন্যান্য সংস্থা কর্তৃক আয়োজিত বিজ্ঞান মেলায় অংশগ্রহণ ও উদ্ভাবনীমূলক চিন্তাধারার ফল স্বরূপ বিভিন্ন পর্যায়ে পুরস্কার অর্জন করেছে। প্রতিষ্ঠানের একজন শিক্ষার্থী ২০১৮ সালে আন্তর্জাতিক রোবটিক সোসাইটিতে ফিলিপাইনে অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে পুরস্কার লাভ  করে প্রতিষ্ঠানের মান আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে আরো উজ্জ্বল করেছে। প্রতি বছর দেশের বিভিন্ন পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ^বিদ্যালয় ও উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অসংখ্য শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পাচ্ছে। তৎকালিন মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ এম.পি মহোদয় প্রতিষ্ঠানটিতে মাল্ডিমিডিয়া জোন উদ্বোধন করেন। ফলে প্রতিষ্ঠানের প্রায় শ্রেণিতে পাঠদান কার্যক্রম মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয়ে থাকে। শিক্ষার্থী ও শিক্ষক-কর্মচারীদের প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ মুখে ডিজিটাল হাজিরার ব্যবস্থা রয়েছে। কোন শিক্ষার্থী বিলম্বে উপস্থিত অথবা ক্লাসে অনুপস্থিত থাকলে ক্লাস শুরুর ১০ মিনিটের মধ্যে অভিভাবকদের মোবাইলে ঝগঝ-এর মাধ্যমে অবগত করানো হয়। ঐহিত্যবাহী প্রতিষ্ঠানটির উত্তরোত্তর সফলতা ও সু-ব্যবস্থাপনায় লালবাগ, কামরাঙ্গিরচর, হাজারিবাগ, কেরানিগঞ্জ বাসীর নিকট একটি আকর্ষণীয় ও মানসম্মত প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্থান করে নিতে ইতোমধ্যেই সক্ষম হয়েছে। সরকারিভাবে ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থী বাছাই প্রক্রিয়া চলমান থাকায় এবং আসন স্বল্পতার কারণে অনেকেরই আগ্রহ থাকা সত্তে¡ও সন্তান ভর্তি করা দিন দিন কঠিন হয়ে পড়ছে। 
প্রতিষ্ঠানটির অবকাঠামোগত উন্নয়নের বিষয়ে না বললেই নয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয় নাই বললেই চলে। আমি অধ্যক্ষ হিসাবে এই প্রতিষ্ঠানে ০২/০১/২০১৭ তারিখে যোগদানের পর ২০/০৩/২০১৭ তারিখে অনুষ্ঠিত বোর্ড অব গভর্নরসের ৩৫তম সভার সভাপতি সাবেক সিনিয়র সচিব জনাব মো. সোহরাব হোসাইন স্যারকে প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপুর্ণ কিছু সমস্যার বিষয়ে অবগত করতে সক্ষম হই এবং স্যার শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী জনাব দেওয়ান মোহাম্মদ হানজালা স্যারকে প্রতিষ্ঠানের সমস্যাগুলোর দ্রæত সমাধানের নির্দেশ প্রদান করেন। পরবর্তীতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিজ্ঞানাগার সমূহের সংস্কার, একটি শহীদ মিনার নির্মাণ, অভিভাবক সেড নির্মাণ, সীমানা প্রাচীর সংস্কার, বিদ্যমান একাডেমিক ভবনের উর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ, একটি আধুনিক শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত অডিটরিয়াম, প্রধান গেইট নির্মাণ, অধ্যক্ষের বাসা সংস্কার, বৈদ্যুতিক সাবস্টেশন ও জেনারেটর সংস্কার ও চালুকরণ, সুয়ারেজ লাইনের সংস্কার, একাডেমিক ভবনের বারান্দায় গ্রীল ও রং করণের কাজসহ যাবতীয় উন্নয়নমূলক কাজ বর্তমান সরকারের আমলেই বাস্তবায়ন হচ্ছে এবং এখনো চলমান রয়েছে। এ জন্য সাবেক সিনিয়র সচিব জনাব মো. সোহরাব হোসাইন স্যার ও সাবেক প্রধান প্রকৌশলী দেওয়ান মোহাম্মদ হানজালা স্যারের কাছে লালবাগ সরকারি মডেল স্কুল এন্ড কলেজ পরিবার চিরঋণী। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের বর্তমান প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আরিফুর রহমান এর তত্ত¡বধানে আরো বেশ কিছু খাতে বরাদ্দ ও উন্নয়ন কাজ দ্রæত এগিয়ে চলছে। একটি মডেল প্রতিষ্ঠানে যা কিছু থাকা দরকার তার প্রায় সবই বিদ্যমান রয়েছে এ প্রতিষ্ঠানটিতে, যার প্রভাবে এলাকার জনসাধারণের মাঝে শিক্ষার প্রতি আগ্রহ বেড়েছে অনেক গুণ। এলাকার প্রতিটি ঘরের এমনকি একই পরিবারের ৩/৪ জন পর্যন্ত শিক্ষার্থী বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটিতে পড়াশুনা করছে। শিক্ষার আলো লালবাগ এলাকার প্রতিটি ঘরে পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি অর্থাৎ অত্র এলাকার একমাত্র মানসম্মত প্রতিষ্ঠান হিসেবে ইতোমধ্যে বহুল পরিচিতি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। 
ঐহিত্যবাহী এ প্রতিষ্ঠানটির অবস্থান, শিক্ষার মান, শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিরলস পরিশ্রম, সুদক্ষ ব্যবস্থাপনা সামগ্রিক দিক বিবেচনায় সাবেক মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ এম.পি, সাবেক সিনিয়র সচিব মো. সোহরাব হোসাইন স্যার, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মহোদয়ের অবিরাম প্রচেষ্টায় হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর সুযোগ্য কন্যা বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বিগত ১৮/০৯/২০১৭ তারিখ হতে প্রতিষ্ঠানটিকে সরকারিকরণ করেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রূপকল্প ২০৪১ এর মাধ্যমে যে সুখি-সমৃদ্ধ, উন্নত ও শান্তিময় বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখিয়েছেন, তা বাস্তবায়নে এবং চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চাহিদা অনুযায়ী টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জনে আমাদেরকে দক্ষ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নির্ভর, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ, মানবিক গুণাবলি সম্পন্ন মানব সম্পদ গড়ে তুলতে হবে।
বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটিতে ৯৪ জন শিক্ষক,কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মরত আছেন। তার মধ্যে ৭৪ জন শিক্ষক,কর্মকর্তা-কর্মচারী সরকারের রাজস্বখাতভুক্ত হয়েছেন এবং নিয়মিত সরকারি বেতন-ভাতাদি ভোগ করে আসছেন। প্রতিষ্ঠানটি পুরাতন ঢাকার লালবাগের স্বল্পআয়ের, ঘনবসতিপূর্ণ ও পিছিয়ে পড়া বসবাসকারী জন সাধারণের সন্তানদের স্বল্প খরচে মান সম্মত শিক্ষা অর্জনের এক বিশাল সুযোগ সৃষ্টি করেছে। যা এলাকাবাসী সব সময় স্মরণ রাখবে। ডা. দীপু মনি এম.পি, মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী, শিক্ষা মন্ত্রনালয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, মহিবুল হাসান চৌধুরী, এম.পি, মাননীয় শিক্ষা উপমন্ত্রী, মোঃ মাহবুব হোসন, মাননীয় সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও প্রফেসর ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক, মহাপরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর মহোদয়ের সঠিক দিক নির্দেশনা অনুযায়ী পরিচালিত হয়ে মান সম্মত শিক্ষা নিশ্চিত কল্পে যা যা করণীয় তার সব কিছু বাস্তবায়নে প্রতিষ্ঠানের সকলে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। প্রতিষ্ঠানের সাথে সংশ্লিষ্ট আমাদের সকলের একটাই উদ্দেশ্য- মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ও চেতনাকে ধারণ করে স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে নতুন প্রজন্মের কাছে স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস ও শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেয়া।


অধ্যক্ষ
লালবাগ সরকারি মডেল স্কুল এন্ড কলেজ
লালবাগ, ঢাকা।